মুখ‍্যমন্ত্রীর সভার প্রাক্কালেই আন্দোলনে গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটি

6th February 2020 বাঁকুড়া
মুখ‍্যমন্ত্রীর সভার প্রাক্কালেই আন্দোলনে গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটি


এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হলো গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটি । জেলাশাসকের সাথে দেখা করে যেমন জানানো হয়েছে বিষয়টি তেমনি সভাও করা হয় কমিটির পক্ষ থেকে । তবে মুখ‍্যমন্ত্রীর সভাস্থল আদৌ পরিবর্তন হবে কি না তা নিয়ে সকলের ই মনে প্রশ্ন রয়েছে । দেরিতে হলেও এবার আন্দোলনে নামলো গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটি সহ আরো ষোলটি গণসংগঠন। আগামী ১১ ই ফেব্রুয়ারি বাঁকুড়া সতীঘাটে তৃণমূলের বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন। মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মী সম্মেলনের প্রধান বক্তা।ইতিমধ্যেই সম্মেলন সফল করতে আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।প্রায় ৫০ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত থাকবে এই কর্মী সম্মেলনে। সেই কর্মী সম্মেলনে মূলমঞ্চ ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমিতে করা হলেও কর্মী সম্মেলনের ডাক পাওয়া নেতা-কর্মীরা বসবেন নদীবক্ষে। সেই কারণেই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে নদীবক্ষ জেসিবি, ড্রজার দিয়ে পরিষ্কার করে উঁচু-নিচু জায়গা ভেঙে  বসার উপযোগী করার কাজ চলছে পুরোদমে। এর আগেও গন্ধেশ্বরী নদী বক্ষে অবৈধ নির্মাণ, শহরের নোংরা আবর্জনা নদীতে ফেলা ও একটি ধর্মীয় সংগঠনের সম্মেলন নদীবক্ষে করার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছিলেন গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটি। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলন কে সামনে রেখে আজই প্রথম আন্দোলনে নামতে দেখা গেল গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটিকে।জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে সংগঠনের পক্ষ ছয় সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। নদীবক্ষে সভা করার প্রতিবাদে এক স্মারকলিপিও জমা দেন জেলা শাসকের কাছে। পাশাপাশি আজ বিকেলে বাঁকুড়া লালবাজার মোড়ে নদী বাঁচানোর আহবানে একটি পথসভা করা হয় এই যৌথ কমিটির পক্ষ থেকে।
নদী বাঁচাও কমিটি অবশ্য রাজশক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন করা কঠিন বলে মেনে নিয়েছেন। জেলাশাসক পুলিশসুপার আমলাতান্ত্রিক রাজশক্তির একটি অঙ্গ। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারছেন না এমনটাই দাবি এই আন্দোলনকারীদের।
       ছবি - দেবব্রত মন্ডল





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।